দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ১মাস পর বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায়
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি
দেশব্যাপি মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট’সহ ১০ জেলার উপজেলার সকল মসজিদগুলোতে জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। মরন ঘাতক এ ভাইরাসের প্রভাবের প্রায় একমাস পর শুক্রবার বাগেরহাটের সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে জামাতে জুমার নামাজ আদায় করার সুযোগ পেয়েছেন। এতে খুশি হয়ে মুসুলল্লিরা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকুরিয়া আদায় কওে দোয়া ও মোনাযাত করেছেন। দীর্ঘদিন পর মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করার সুযোগ পেয়ে বাগেরহাটে প্রতিটি মসজিদে ভিড় করেন মুসল্লিরা।
পৌর কবরস্থান সংলগ্ন জামে মসজিদে একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেন প্রায় পাচঁ শতাধিক মানুষ। ৪ সপ্তাহ পরে মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ে করার সুযোগ পেয়েছেন অত্র অঞ্চলের মুসল্লিরা। শুক্রবার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদগুলোয় জুমার নামাজ আদায় করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলার ৯উপজেলার সকল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করা হয়েছে।
প্রত্যেকটি এলাকার মসজিদেই জুমার নামাজের সময়ই বিপুলসংখ্যক মুসল্লি মসজিদে জমায়েত হয়েছেন। তবে সবাই মসজিদে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখেই জুম্মার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারী ভাবে গত মাসের প্রধম সপ্তাহ থেকে মসজিদে জুমা ও পাঞ্জেগানা নামাজে সাধারণ মুসল্লিদের অংশ নেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন।
একই সঙ্গে গত মাসের ২৩ এপ্রিল রমজানের তারাবির নামাজে ১০ জনের বেশি মুসল্লি অংশ নিতে পারবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিকে ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য ১২টি শর্ত বেঁধে দেয় সরকার। বাগেরহাট জেলার ৯উপজেলারও ৩ পৌরসভার প্রতিটি মসজিদে মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করা ও পবিত্র হওয়ার জন্য ওজু করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারের নির্দেশনা মেনে এবং ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মুসল্লিদেও সাবান দিয়ে হাত দোয়া ও মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে জীবাণুনাশক দিয়ে বাগেরহাটে প্রায় ২৫১৪টি মসজিদসহ সকল মসজিদে জীবানু নাশক ওষুধ দিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করেছেন মসজিদের খাদেমরা।